দ্রুত ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে গত দুই দশকে বাংলাদেশে ৬৫ বছরের বেশি বয়সী মানুষের মধ্যে তাপজনিত মৃত্যুর হার ১৪৮ শতাংশ বেড়েছে।
এর ফলে উচ্চ রক্তচাপ, হিট স্ট্রোক, হৃদরোগ ও কিডনি জটিলতাসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিতে রয়েছে তারা। সম্প্রতি স্বাস্থ্যের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে ল্যানসেটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া যায়।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর শ্যামলীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ২০০০ থেকে ২০০৪ এবং ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে তাপজনিত মৃত্যুর হারের তুলনা করে জনস্বাস্থ্যবিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেটে প্রকাশিত এ বিশেষ প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা করেন বক্তারা।
‘২০২২ স্বাস্থ্য ও জলবায়ু- সম্পর্কিত ল্যানসেট কাউন্টডাউন রিপোর্ট বাংলাদেশে উদযাপন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চাইল্ড লন, হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন ও ল্যানসেট কাউন্টডাউন: মলা ট্র্যাকিং প্রোগ্রেস অন হেলথ অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে ১৯৮৬ থেকে ২০০৫ সালের তুলনায় ২০২১ সালে গ্রীষ্মের তাপমাত্রা ০.৪৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০০ সালে ছিল ০.০৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
একই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছে। ভুগছে উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনি রোগের জটিলতায়। স্বাস্থ্যের ওপর বিরুপ প্রভাব মোকাবেলায় দেশে সুনির্দিষ্ট জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের অভাব রয়েছে বলেও এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
বিশ্বের ৫১টি প্রতিষ্ঠানের ৯৯ গবেষক প্রতিবেদনটি তৈরি করেন। তাদের একজন ইতালির ভেনিস নূরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌর দাশগুপ্ত। মূল উপস্থাপনায় এই প্রবাসী বিজ্ঞানী বলেন, ২০০০-০৪ সালের তুলনায় ২০১৭- ২০২২ সময়কালে অতি তাপমাত্রার কারণে মৃত্যু বেড়েছে ১৪৮ শতাংশ।
সংখ্যায় ১ হাজার ৪৩০। সংখ্যাটি আপাতদৃষ্টে কম দেখালেও এর তাৎপর্য অনেক। আরকে উপস্থাপনায় বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন প্রতিবেদনের সহলেখক ও গ্রানথাম রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এলিজাবেথ রবিনসন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।